হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ৫০
হবিগঞ্জে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
এ সংঘর্ষে আহত মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজাসহ অন্তত ২০ জনকে হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে গুরুতর আহত নিরঞ্জন গোস্বামী শুভকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে 'মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে' শহরের শায়েস্তানগরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিএনপির মানববন্ধন চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছু সময় বাগবিতণ্ডা হয় এবং পরে একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় একটি গাড়ি ও কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় মাইটিভির প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ, দেশটিভির প্রতিনিধি আমির হামজা, জেলা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রদলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল ইসলাম, যুবদল নেতা শেখ রাসেলসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সেলিম বলেন, মানববন্ধন শেষ পর্যায়ে এসে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইট-পাটকেলে তিনিসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে বলে জানান তিনি।