পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর আয় প্রায় ৩৭ গুণ বেড়েছে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম। ২০১৮ সালে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার শক্ত প্রতিপক্ষ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। শামীমের আয় বেড়েছে প্রায় ৩৭ গুণ।
২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় পেশা- ব্যবসা উল্লেখ করা জাহিদ ফারুকের বাৎসরিক আয় ছিল ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। তারমধ্যে নগদ ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ টাকা, গাড়ির দাম ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা, স্বর্ণ ২০ ভরি, ইলেক্ট্রনিক ও আসবাবপত্রের দাম ৪ লাখ টাকা এবং অকৃষি জমি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ছিল। স্ত্রীর নামে ছিল আরও ৩০ ভরি স্বর্ণ। এ ছাড়া ওই সময় তার গাড়ি ক্রয় বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকার ঋণও ছিল।
৫ বছরের ব্যবধানে এবারের জাতীয় নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় জাহিদ ফারুক তার বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেছেন ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা।
এরমধ্যে পেনশন ও সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া ভাতা থেকে বাৎসরিক আয় ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬ টাকা। ব্যাংক মুনাফা ও ফ্ল্যাট বিক্রি করে আয় ১ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের ব্যবধানে প্রতিমন্ত্রীর বাৎসরিক আয় বেড়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮ হাজার ৮৫৬ টাকা।
এ ছাড়া, তার নগদ রয়েছে ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকৃত ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার, স্বর্ণ ২০ তোলা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র ৭০ হাজার টাকার রয়েছে।
হলফনামায় বরিশালের আলেকান্দায় দুইটি বাড়ি এবং কক্সবাজার ও ঢাকার বারিধারায় দুইটি দালানের উল্লেখ রয়েছে, যার মূল্য ১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা। জাহিদ ফারুকের স্ত্রীর নামে নগদ অর্থ রয়েছে ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ৫৬ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৭০ লাখ টাকা, ১০ তোলা স্বর্ণ এবং একটি পিস্তল রয়েছে যার মূল্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।