৬ লাখের কিছু বেশি থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি: গত ১০ বছরে ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে
এক দশকে অনেকটা বেড়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নগদ টাকা। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর কাছে নগদ টাকা ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তাঁর কাছে নগদ আছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা। অর্থাৎ, ১০ বছরের ব্যবধানে তার নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ৫২ গুণ। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া তাঁর হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
একইসময়ে তার স্ত্রী আফরোজা হকেরও নগদ টাকা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
এখন তার নগদ টাকা আছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে ছিল ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা। আর ১০ বছর আগে ছিল মাত্র ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯০ টাকা। অর্থাৎ, এক দশকে আফরোজার নগদ টাকা বেড়েছে ২৫ গুণেরও বেশি।
হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। এরমধ্যে একবার সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হিসেবে উল্লেখ করেছেন হাসানুল হক ইনু। তাঁর আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ইনু তাঁর বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা বলে ঘোষণা করেছেন। এরমধ্যে ব্যবসা থেকে আসে ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৫৯ টাকা, বেতন-ভাতা থেকে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫৭৫ টাকা, এবং টিভি টকশো ও ব্যাংক সুদ থেকে ২ লাখ ১৬ হাজার ৭০ টাকা আয় দেখিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা আয় ঘোষণা করেছিলেন। ১০ বছর আগে ছিল ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৮২ টাকা।
এক দশকে হাসানুল হক ইনুর স্বর্ণালংকার বাড়েনি। ১৯৭৪ সালে উপহার হিসেবে তিনি ২৫ ভরি সোনা পেয়েছিলেন। এখনো সে পরিমাণই আছে। তবে তার স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার বেড়েছে। সবশেষ হলফনামা অনুযায়ী, আফরোজা হকের রয়েছে ৪০ ভরি স্বর্ণ।
হাসানুল হক ইনুর ৪ লাখ টাকা দামের একটি জিপ আছে। রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট আছে, যার দাম দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায়ও প্লটের কথা উল্লেখ করা আছে।