নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা
নতুন উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের দিন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২১০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৭১ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টন বেশি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সোমবার ইউএনবিকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আগের এলসি অনুযায়ী ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া বাজারে ওঠা নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা বশির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, সোমবার বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে এবং আগের দুই দিনের তুলনায় দামও কমেছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন পেঁয়াজ আসার পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকরাও এখন ভালো দাম পাচ্ছেন।
বশির আরও বলেন, অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ করার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান বাজারে পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, যার ফলন হয় প্রায় ৮ লাখ টন।
এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং এ বছর উৎপাদন প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন হতে পারে।
তিনি বলেন, এ বছর অনেক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজের চাষ হয়েছে একারণে ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।