কারামুক্ত হলেন ইভ্যালির রাসেল
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি জামিনে কারাগার থেকে ছাড়া পান বলে আজ নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ।
তিনি জানান, একাধিক মামলায় কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন রাসেল। সব মামলায় জামিন পাওয়ায় গতকাল তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত বছরের ৬ এপ্রিল শামীমা জামিনে মুক্ত হলেও কারাগারে ছিলেন রাসেল।
২০২১ সালে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। এরপর ওই বছরেরই ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমাকে আটক করে র্যাব।
ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে একজন গ্রাহক আদালতে আবেদন করলে ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন আদালত । পরে রাসেলের শ্বশুর, শাশুড়ি ও এক আত্মীয় আদালতে উপস্থিত হয়ে রাসেল ও শামীমার শেয়ার নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন হাইকোর্ট তাদের শেয়ার হস্তান্তরে স্বাধীনতা রয়েছে বলে আদেশ দেন।
এরপর আদালতের আদেশে গঠিত পরিচলনা পর্ষদের সদস্যরা পদত্যাগ করেন। তারপর আদালতের আদেশ অনুসারে, গত বছর শামীমা, তার মা ফরিদা আক্তার ও বোনের স্বামী মামুনুর রশীদ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এছাড়া ইক্যাব সহসভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন পর্ষদে।
সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রাসেল কারাগারে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসে চলা ইভ্যালির মূল সার্ভারের পাসওয়ার্ড স্মরণ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটির বিপুল দেনা নিরূপণ করতে পারেনি আদালত গঠিত পর্ষদ ও নিরীক্ষক।
বর্তমান পর্ষদ নতুন সার্ভার ব্যবহার করে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমের নামমাত্র পুনরুজ্জীবন ঘটায়। কিছু অর্ডারও আসছে প্ল্যাটফর্মটিতে।
এদিকে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম পেমেন্টের প্রায় অর্ধেক ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা।
তবে প্রতিষ্ঠানটির কাছে শত শত কোটি টাকার পান গ্রাহক ও বিক্রেতারা; তাদের ভাগ্যে কী আছে, সেটি অনিশ্চিত।