অনিয়ম ঠেকাতে আমদানিকারকের রেকর্ডপত্র প্রতিমাসে জমার শর্ত এনবিআরের
আমদানিকারকদের ক্রয়-বিক্রয়ের রেকর্ড নিয়মিত ভ্যাটের মত কাস্টমসে (কাস্টমস হাউজে) জমা দেওয়ার শর্ত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ২২ ডিসেম্বর এনবিআরের কাস্টমস বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি আদেশ (এসআরও) জারি করে, যা বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে আমদানিকৃত পণ্য, মেশিনারিজ বিক্রয় করে তা গোপন করার সুযোগ কমে আসবে।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "নতুন এ আদেশটি ভ্যাট বিভাগের এ সংক্রান্ত আদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছে, যাতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে অ্যাকাউন্ট মেইন্টেইন করেন।"
"কখনো কখনো বিক্রি কম দেখানো বা রেকর্ডপত্র না রাখার মত বিষয়গুলো এতে কমে আসবে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে কমপ্লায়েন্স তৈরি হবে," বলেন তিনি।
অবশ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভ্যাটের মত নিয়মিত কাস্টমস বিভাগে রেকর্ডপত্র দেওয়ার শর্ত পরিপালন করতে গেলে ব্যবসায়ীদের হয়রানি এবং খরচ বাড়তে পারে।
এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির টিবিএসকে বলেন, "অল্প কিছু ব্যবসায়ী হয়তো অনিয়ম করছে। কিন্তু তাদের জন্য এখন সব ব্যবসায়ীর হয়রানি বাড়বে। নিয়মিত ভ্যাটের মত কাস্টমস হাউজেও চালানপত্র বা অন্যান্য রেকর্ড জমা দিতে হলে টাকা-পয়সা খরচ হবে।"
তিনি বলেন, "আমরা প্রতিমাসে ভ্যাট বিভাগে হিসাবপত্র জমা দিচ্ছি। কাস্টমস ভ্যাটের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করে সেখান থেকেই চাইলে তথ্য নিতে পারে। আমাদেরকে আবার আলাদা করে কাস্টমস হাউজে জমা দেওয়ার জন্য বলছে কেন?"
অবশ্য, এনবিআরের ওই আদেশে বলা হয়, কোনো ধরনের দৈব-দুর্বিপাক বা কোনো যৌক্তিক কারণে ইলেক্ট্রনিক তথ্য পাওয়া না গেলে কাস্টমস কমিশনার অ্যাসেসমেন্ট (ইমপোর্টেড গুডস) করার কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন।