নির্বাচনের আগে-পরে ৩ দিন ‘জোরালো আন্দোলনের’ পরিকল্পনা বিএনপি-জামায়াতের
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবিতে এবং আসন্ন নির্বাচন ঠেকাতে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত 'জোরালো আন্দোলনের' পরিকল্পনা করছে বিএনপি-জামায়াত।
দুই দলের সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ জোরালো আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া ৩ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে অন্য দিনগুলোতেও হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা দ্য বিজনেস স্টাডার্ডকে জানান, মাঠের আন্দোলন ও কূটনৈতিক সমর্থন আদায়—উভয়কেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবারের আন্দোলনে।
তারা জানান, এবার আন্দোলনের প্রথম লক্ষ্য হলো নির্বাচন প্রতিহত করে সরকার পতন করা। এতে কোনোমতে সফল হতে না পারলে প্রচেষ্টা থাকবে যেকোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্র 'ভোটারশূন্য' রাখা।
এছাড়া নির্বাচন হয়ে গেলেও সরকার পতনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া এবং দেশি-বিদেশি সমর্থন আদায় করে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাও এবারের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকেও নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার প্রাথমিক নির্দেশ দিয়েছে দল দুটি।
এছাড়াও নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের আসনভিত্তিক ৩০০টি কমিটি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরের বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের দফায় দফায় মিটিং হচ্ছে চলমান এ আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে।
বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বাড়ল
সারা দেশে ভোট বর্জনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী দলগুলো। পাশাপাশি আগামী ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি আবারও গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেয় দলগুলো।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলন ত্বরান্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, 'প্রত্যেক জনগণ আমাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে। হাটে-মাঠে, খেতে-খামারে, বাজারে-শপিংমলে জনগণকে আমরা লিফলেট দিয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনেছেন এবং সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, সেটাই আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার ও মামলা দিচ্ছে।'