হার্টের স্টেন্টের নির্ধারিত দাম যৌক্তিক, সংকট কৃত্রিম: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর
দেশে কার্ডিয়াক স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর– সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইউরোপীয় স্টেন্ট আমদানিকারক ২৪টি কোম্পানি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০-১২টা পযর্ন্ত রিংয়ের দাম সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির সঙ্গে জরুরি সভা করে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
সভাশেষে অধিদপ্তর জানিয়েছে স্টেন্টের দাম যৌক্তিক, যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে– তা কৃত্রিম।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বৈঠকে দাম সমন্বয়ে সরকারের গঠিত জাতীয় কমিটির ১৩ সদস্যের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক নুরুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "মিটিংয়ে দাম পুনরায় বিবেচনা করা হয়নি। কমিটি তিনটি বিষয়ে আলোচনা করেছে। আলোচনায় বলা হয়, চলতি মাসে যে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা যৌক্তিক। জনস্বার্থে ন্যায্যতা বিবেচনা করে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল।"
তিনি আরো বলেন, "যে ক্রাইসিসের কথা বলা হচ্ছে তা কৃত্রিম। এমন কোনো সংকট হাসপাতালগুলোতে নেই। যারা দাম বাড়াতে চায়– সেই সব আমদানিকারকে এমন সংকটের কথা ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে সব হাসপাতালের তথ্য থাকে, তারা আমাদের নিশ্চিত করেছে– এমন কোনো সংকট নেই।"
নুরুল আলম বলেন, রিং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো দামের বিষয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেছে। দামের সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেননি, রুল জারি করে জবাব দিতে বলেছেন। আদালত খোলার পরে– আগামী ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি হবে। ওই সময় হাইকোর্ট নির্দেশনা দিলে কমিটি বসে দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গত ১২ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হার্টের রিংয়ের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দেয়, যা কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর থেকে। তবে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দিন থেকেই ইউরোপীয় স্টেন্ট আমদানিকারকরা দাম পুনর্নিধারণ না করা পর্যন্ত হাসপাতালগুলোকে তাদের রিং ব্যবহার না করার জন্য চিঠি দিয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশে ২৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের জন্য স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরমধ্যে মূলত তিনটি আমেরিকান। বাকিরা ইউরোপীয় এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে।