ভোট দিতে ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে না: বিদেশি কূটনীতিকদের জানাল ইসি
আগামী নির্বাচনে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে না বলে আজ (৪ জানুয়ারি) এক বৈঠকে বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিক ও বিদেশি মিশনের প্রধানদের জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছিলেন ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কি না। আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে এ ধরনের কোনো চাপ নেই। বরং আমরা ভোটদান প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছি।'
বৈঠকশেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচনের জন্য ইসির প্রস্তুতি সম্পর্কে আমরা জেনেছি।
তবে তারা এই প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
একটি সফল নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, 'এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হবে।'
বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বৈঠক কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের একটি অনুলিপি পেয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে উল্লেখ করে সিইসি তার লিখিত বক্তব্যে কূটনীতিকদের বলেন, বিষয়টি কমিশনের হাতে নয়।
'এটি সামগ্রিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত ইচ্ছা, প্রজ্ঞা এবং সিদ্ধান্তের মধ্যে নিহিত,' তিনি বলেন।
সিইসি বলেন, 'তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে নির্বাচন হয়তো আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ হতো।'
অসাধু লোকজন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা এই জাতীয় যেকোনো প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দিতে বদ্ধপরিকর। সম্ভাব্য কারচুপি, অসদাচরণ এবং যতটা সম্ভব ভোটকেন্দ্রের ভেতরে পেশিশক্তি প্রদর্শন রোধ করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
সিইসি আরও জানান যে, গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও আশপাশে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া এবং মান পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ চালু করেছি।
তিনি আরও বলেন, 'ভোট চলাকালীন প্রতিটি ভোটকেন্দ্র থেকে যে কেউ নির্দিষ্ট তথ্য পেতে পারবেন। এটি একটি নির্দিষ্ট হারে ভোটের অগ্রগতি এবং সুষ্ঠুতা পর্যবেক্ষণে সহায়ক হতে পারে।'
সিইসি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল বস্তুনিষ্ঠভাবে মূল্যায়ন এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামতের জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, 'আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব। নির্বাচনি প্রক্রিয়া যথাসম্ভব স্বচ্ছ করা হবে। আমরা আশা করি নির্বাচন ও ফলাফল সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে।'