বিএনপির বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ কাল্পনিক: রিজভী
সরকারি দল নিজেরাই পরিকল্পিত নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্য দোষ চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একইসাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ (শনিবার) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, "কিন্তু দেশের মানুষ বুঝে এগুলো কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।"
রিজভী আরও বলেন, "গত রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের নৃশংসতম বর্বরোচিত ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরই আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছি। প্রকৃত দোষীদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি।"
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ রেলওয়ে সাত সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এক্ষেত্রে মহানগর ডিবি পুলিশ প্রধানের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন রিজভী।
রিজভী বলেন, "সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীসহ ছয়জনকে তুলে নিয়ে গেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এখন তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালানো হচ্ছে।"
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, "প্রতিটি নাশকতার ঘটনার পর বিএনপির ওপর দোষ চাপানো আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও প্রশাসনের মজ্জাগত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাতে বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর দায় চাপিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহিংস হিসেবে দেখাতে পারে। যেমনটা তারা ১৯৯৬, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে করেছে।"
জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, "প্রহসনমূলক নির্বাচনের একদিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকে ব্যালট পেপারে সিল মারার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। গাইবান্ধা-৪ ব্যালট পেপারে সিল মারার ছবিই প্রমাণ করে যে, আগামী রবিবার কী ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।"
রিজভী দাবি করেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ২৫৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছে ৬০ জন। মামলা দায়ের করা হয়েছে মোট ১৬ টি; যাতে আসামী করা হয়েছে ১৩৫৫ জন নেতাকর্মীকে।