ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
চেক জালিয়াতির মামলায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ইভ্যালির সহপ্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এই দম্পতি আদালতে হাজির না হওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আলী হায়দার এ আদেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় রাসেল ও শামীমাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইভ্যালির গ্রাহক মো. তানভীর হোসেন ২০২১ সালের ১৩ মার্চ একটি বিজ্ঞাপন দেখে মোটরসাইকেল কেনার জন্য কোম্পানিটিকে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু কোম্পানি নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে মোটরসাইকেল সরবরাহ করেনি।
পরে ওই বছরেরই ১৩ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি ওই গ্রাহককে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক দেয়; কিন্তু তাদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় ওই চেক ডিসঅনার হয়।
এরপর গত বছরের ২২ অক্টোবর ওই গ্রাহক তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়ে রাসেল-শামীমা দম্পতিকে মোটরসাইকেল সরবরাহের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু তারা সময়মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ওই গ্রাহক আদালতে মামলা করেন।
রাসেল গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। শামীমা ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল কারাগার থেকে ছাড়া পান। এর আগে গুলশান থানায় একজন গ্রাহক রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করার পর ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযানের সময় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে এই দম্পতির বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়।