বৃহস্পতিবারের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনার জন্য অজ্ঞান করা শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উল্লেখিত এ সময় দেওয়া হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ানকে ফুল অ্যানেস্থেশিয়া (জেনারেল) দিয়ে খৎনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর রোববার (৭ জানুয়ারি) মাঝরাতের দিকে আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
৯ জানুয়ারি আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, তাদের দুজন চিকিৎসক, অজ্ঞাতনামা পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। পাশাপাশি দেশের সব সরকার অনুমোদিত ও অননুমোদিত হাসপাতাল-ক্লিনিকের তালিকা এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
শামীম আহমেদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসায় মারা গেলেও ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিন আয়ানকে লাইফ সাপোর্টে রাখে ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। এরপরে তাকে মৃত ঘোষণা করে, পরিবারকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেয়।
অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন।
১০ জানুয়ারি আয়ানের বাবা ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেন। পরে জানা যায়, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। একারণে, গত ১৪ জানুয়ারি ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।