জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: ইসি আলমগীর
সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা কেন হয় সেটি গবেষণার বিষয়। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচনের কর্মকর্তারা থাকবেন। যাতে কোনো সহিংসতা না হয়। সবার সহযোগিতায় জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা হয়নি। জাতীয় নির্বাচন যেহেতু আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করতে পেরেছি, আমরা আশা করি যেহেতু এটা কয়েকটা ধাপে হবে, তাই আমাদের নির্বাচনটা আরও সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা সংসদ নির্বাচন যেমন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করার চেষ্টা করেছি, স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও একইভাবে আমরা সুষ্ঠু করার চেষ্টা করব। যেহেতু এটা কয়েকটা ধাপে হবে। সেখানে আমাদের কনসেন্ট্রেশনটা আরও বেশি থাকবে। সেগুলো আরও সুষ্ঠু হবে বলে আমরা আশা করি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, যেহেতু সামনে এসএসসি পরীক্ষা আছে, এর পরপরই রোজা শুরু হবে। রোজার মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ঈদের পরপরই যাতে নির্বাচন হয়, আমরা সেইভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে ৩১ মে এর মধ্যে ধাপে ধাপে এই নির্বাচন শেষ করা হবে...নির্বাচন ইভিএমে হতে আবার ব্যালটেও হতে পারে বা ব্যালট ও ইভিএমে মিক্সডও হতে পারে।
ক্ষমতাসীন দল দলীয় প্রতীক দেবে না, এতে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি মনে করে তারা দলীয় প্রতীকে মনোনয়ন দেবে না। সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই। এ নিয়ে কোনো সমস্যাও নেই। রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে ও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়। কোনো রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক না দিলে সে ক্ষেত্রে তারা স্বতন্ত্রদের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ২৫০ জন ভোটারের সমর্থন রয়েছে, এমন প্রমাণ জমা দিতে হবে। আর যদি কেউ এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়ে থাকেন। তাহলে তাদের ভোটারের সমর্থনযুক্ত তালিকা জমা দিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে দলীয় প্রতীক থাকলেও যে অবস্থা, না থাকলেও একই অবস্থা। নির্বাচন কমিশনের জন্য এটি আলাদা কোনো দায়দায়িত্ব নেই।
সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য কোন দল কতটি আসন পাবে, সেই প্রভেশনটা জানাতে আমরা সংসদ সচিবালয়কে চিঠি পাঠিয়ে। এখনও উত্তর পাইনি। সেটি পেলে সিদ্ধান্ত নেব। আইন অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। আমরা হয়ত তালিকা আগামী সপ্তাহে বা এই সপ্তাহের শেষেও পেয়ে যেতে পারি।
ইসি বলেন, যদি জোট হয়, ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আছে তারা জোট করতে পারে। রাজনৈতিক দলের মধ্যেও জোট হতে পারে। স্বতন্ত্ররাও জোট হতে পারে, আবার রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলেও জোট হতে পারে।
স্বতন্ত্রদের যদি জোট না হয়, তাহলে কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোট তো হতেই হবে। জোট না হলে সেগুলো শূন্য থাকবে।
'আইনবহির্ভূত'জরিমানা করার অভিযোগ জানিয়ে কুমিল্লা–৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার হাইকোর্টে রিট করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের যেকোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে আদালতে যাওয়া যাবে, সেটি তো আইনে আছে। সেটি আদালত বিবেচনা করে দেখবেন, সেই হিসেবে সিদ্ধান্ত দেবেন। সেটি তো আমাদের বিষয় নয়।