একুশে পদকজয়ী জিয়াউলের গ্রন্থাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবন করে দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
একুশে পদক বিজয়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জের দই বিক্রেতা জিয়াউল হকের গ্রন্থাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবন করে দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক গ্রহণের সময় জিয়াউলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, তিনি (জিয়াউল) চাইলে তার প্রতিষ্ঠিত স্কুলটিও সরকার জাতীয়করণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
'অমর একুশে' ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জিয়াউল হকের আত্মত্যাগের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করব, প্রতিটি জায়গায় এমন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন, যারা প্রকাশ্যে নেই এবং যাদের কোনো প্রচার বা প্রচারণা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শিক্ষা অর্জন করতে পারেনি, তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে জিয়াউল হক তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান এবং সমাজের প্রতি তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাজের জন্য যারা নিরলসভাবে কাজ করছেন, তাদের উৎসাহিত করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার বাসিন্দা জিয়াউল হক। দই ব্যবসা থেকে শিক্ষানুরাগী হওয়া সাদা মনের মানুষ প্রায় ৫০ বছর ধরে মানবসেবায় নিজেকে মেলে ধরেছেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নেন তিনি।
১৯৬২ সাল থেকে বিভিন্নভাবে মানুষজনকে সহযোগিতা করতেন জিয়াউল হক। এসবে অর্থের জোগান আসতো তার দই বিক্রির টাকা থেকে। বিয়ের পর তার এমন কল্যাণমূলক কাজে উৎসাহ দিতেন প্রথম স্ত্রী।
পরে ১৯৬৯ সালে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন 'জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার। পাঠাগারটিতে বর্তমানে ১৪ হাজার বই আছে।