বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ডেপুটি গভর্নর হলেন খুরশীদ আলম–হাবিবুর রহমান
মো. খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সর্বশেষ এ নিয়োগের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন চারজন ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন।
নতুন ডেপুটি গভর্নরদের তাদের বর্তমান পদ থেকে স্বেচ্ছা অবসর বাতিলের শর্তে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মো. খুরশীদ আলম বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তারপর থেকে ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি, ব্যাংকিং পরিদর্শন, এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস, গ্রিন ব্যাংকিং অ্যান্ড সিএসআর, এবং ঋণ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম, সিলেট এবং রংপুর অফিসে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এরপর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
অন্যদিকে হাবিবুর রহমান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
ড. হাবিবুর রহমান এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং কারিগরি ইউনিটে কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি বিশ্লেষণ ইউনিটে জ্যেষ্ঠ গবেষণা অর্থনীতিবিদ হিসেবেও কাজ করেছেন।
ব্যবহারিক অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করা ড. হাবিবুর ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খানের চুক্তির মেয়াদ ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। আর ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাছেরের চুক্তির মেয়াদ ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
আবু ফারাহ মো. নাছের আগামী বছরের জন্য ব্যাংকের নীতি উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ৩টি ডেপুটি গভর্নর পদ ছিল। এরপর ২০১৯ সালে পদের সংখ্যা ৪টি করা হয়। একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে একজন ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ করা হবে, এ শর্তে চতুর্থ পদটি যুক্ত করা হয়েছে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে সরকার ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের জন্য একটি সার্কুলার জারি করে। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুটি ডেপুটি গভর্নর পদের জন্য আবারও বিজ্ঞাপ্তি দেওয়া হয়।