হয়রানি, গ্রেপ্তার বন্ধে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি রেস্তোরাঁ মালিকদের
মানসম্মত পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে অভিযানের নামে হয়রানি ও গ্রেপ্তার বন্ধে টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
সম্প্রতি বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ড এবং আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার বিজয়নগরে সমিতির হেড অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিকরা।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান বলেন, "বেশ কয়েকটি সংস্থা রেস্তোরাঁগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। উপরন্তু, আনসার, পুলিশ এবং র্যাবের মতো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছেন। এতে অনেকটা জগাখিচুড়ির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তো রয়েছেই, তাদেরকেই কাজ করার অনুমতি দেওয়া উচিত।"
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রেস্তোরাঁর মালিক এবং প্রশাসন উভয়কেই দায়ী করে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে শহরের খাবারের দোকানগুলোতে তাণ্ডব শুরু হয়েছে। কিছু দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তারা ক্ষমতা দেখিয়ে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেক রেস্টুরেন্টও বন্ধ করে দিচ্ছেন।
তিনি দাবি করেন, এর মাধ্যমে বেকারি শিল্পের মতো রেস্তোরাঁ ব্যবসাও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর হাতে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
রেস্তোরাঁ মালিকদের একটি রেস্তোরাঁ খোলার জন্য ১২টি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় উল্লেখ করে মালিকরা বলেন, রেস্টুরেন্ট মালিক ও এই শিল্পের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চললেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টিতে সরকারের মনযোগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে, বেইলি রোডে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতিটি রেস্টুরেন্টে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ পরার কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।