এস আলম চিনিকলে আগুনে পরিবেশের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন
চট্টগ্রামের এস আলম চিনিকলের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ফলে হওয়া পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণে একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
কমিটিকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ এবং প্রশমন ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে আছেন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (পিএইচডি) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও ইনস্টিটিউট অব রিভার, হারবার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের পরিচালক ড. আসিফুল হক।
সদস্য হিসেবে আছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসান। এতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে অন্য যে কোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।
কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের এস আলম চিনিকলের গুদামে থাকা অপরিশোধিত চিনি আগুনে পুড়ে এবং আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি মিশে গিয়ে পড়েছে পাশের কর্ণফুলী নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে দেখা দিয়েছে মারাত্মক বিপর্যয়।
দূষণের ফলে পানিতে ভেসে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। সেই মাছ ধরতে মানুষ জাল, প্লাস্টিকের ঝুড়ি বা খালি হাতেই নেমে পড়েছেন নদীতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোড়া চিনির বর্জ্যের কারণে নদীর পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে গেছে। সে কারণে মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী ভেসে উঠছে।
এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি চিনি শোধনাগার কারখানার গুদামে আগুন লাগে।