দুর্বল ও সবল ব্যাংককে চাপ দিয়ে এক করার বিরুদ্ধে সতর্কতা ব্যবসায়ী নেতা-অর্থনীতিবিদদের
দুর্বল ও সবল ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে একীভূতকরণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন ব্যবসায়ী নেতা এবং অর্থনীতিবিদেরা।
রোববার (১০ মার্চ) রাজধানীতে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তৃতাকালে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আফতাব উল ইসলাম বলেন, 'ব্যাংকের মার্জার [একীভূতকরণ] নিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি আছে, কনফিউশন [বিভ্রান্তি] আছে। কারণ দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে মার্জার হলে কী ধরনের সমস্যা হবে সে প্রশ্ন আছে।'
বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, 'ব্যাংকের মার্জার নিয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তাড়াহুড়া না করে একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে মার্জার করা উচিত।'
'প্রাক বাজেট আলোচনা ২০২৪-২৫' শীর্ষক ওই সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামী বাজেট বেসরকারি খাতের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
যারা ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণের নামে টাকা নিয়ে ইচ্ছা করে খেলাপি হয়েছেন বা বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের নাম প্রকাশ করার দাবি জানান ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআিই) সাবেক সভাপতি একে আজাদ।
তিনি বলেন, 'তাদের নাম প্রকাশ করা হলে তারা সামাজিকভাবে চাপের মধ্যে পড়বেন এবং ওই টাকা পরিশোধে বাধ্য হবেন।
'যারা ব্যাংকের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে খেলাপি হয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু ঋণের নামে যারা টাকা নিয়ে বিনিয়োগ না করে বিদেশে নিয়ে গেলেন, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?'
বর্তমান সংসদ সদস্য আজাদ আরও বলেন, সোনালী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংককে কেন করদাতার টাকায় ভর্তুকি দেওয়া হবে?
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে একে আজাদ বলেন, 'ব্যাংক থেকে বলা হচ্ছে ডলার ১০৯ টাকা। কিন্তু আমরা কিনছি ১২৪ টাকায়। এনবিআর আমাদের আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্যাক্স আদায় করছে ১২৪ টাকা হিসাব করে।'
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত এ আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম।