অ্যানেস্থেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৬ নির্দেশনা
সম্প্রতি অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের পরে কিছু রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতার প্রেক্ষাপটে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সুপারিশে অ্যানেস্থেসিয়ার প্রয়োগজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে এতে হ্যালোজেন ব্যবহার ও এর বিকল্প নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা সুপারিশ করা হয়।
চিঠিতে যে ৬ সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে, তা হলো-
১. সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেস্থেটিক হিসেবে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন, সেভোল্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।
২. সারাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/ আইসোফ্লুরেন/ সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।
৩. ডিজিডিএর অনুমোদন ব্যতীত হ্যালোজেন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪.সারাদেশের সকল অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের (সরকারি/ বেসরকারি) কে নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. সকল সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার এর পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্যে চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৬. নতুন অ্যানেস্থেসিয়া মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার এর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক ও নিমিউ এর চিফ টেকনিক্যাল অফিসারকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।