সাভারে তেলবাহী লরি উল্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঢাকার সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জ্বালানি তেলবাহী লরি উল্টে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনার পর রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা আহত ৮ জনের মধ্যে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে মো. হেলাল (৩০) ও সাকিব (২৪) নামে আরও দু'জনের মৃত্যু হয়।
তাদের উভয়ের শরীরের ১০০ ভাগ দগ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল এবং পরে দিবাগত রাত ১ টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাকিবের মৃত্যু হয় বলে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।
নিহত সাকিব বরগুনা সদর উপজেলার মো. আবেদ আলীর ছেলে। তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া তরমুজ বোঝাই ট্রাকের হেলপার (চালকের সহযোগী) ছিলেন। এছাড়া, হেলাল একই ট্রাকের চালক ছিলেন।
ট্রাকটি বরগুনা থেকে তরমুজ বোঝাই করে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এর আগে, গতকাল তেলবাহী লরি উল্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ইকবাল হোসেন (৩৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি যশোর জেলার সদর থানা এলাকার আব্দুল আজীজের ছেলে।
এছাড়া, অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর আহত ৯ জনের মধ্যে নজরুল ইসলামকে (৪৫ হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে সাভারের জোরপুল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় একটি জ্বালানি তেলবাহী লরি।
এসময় লরিটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়ায় সড়কে কাছাকাছি অবস্থানে থাকা আরও একটি কাভার্ড ভ্যান, দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কারে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি এক শিশুসহ মোট ৯ জন দগ্ধ হন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের (জোন-৪) উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল থেকে টিবিএসকে বলেন, "ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে ডিজেলবাহী একটি তেলের লরিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমাদের মোট ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় আমরা একজনকে ঘটনাস্থলে মৃত অবস্থায় পাই।"
পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়।