শীঘ্রই মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে
চলতি বছরের জুলাই থেকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া করছাড় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানিকে (ডিএমটিসিএল) এনবিআরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হবে।
চিঠিতে বলা হয়, 'উন্নয়নের বিপুল কর্মযজ্ঞে অর্থের যোগান অব্যাহত রাখাসহ দেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ এবং কর-জিডিপি অনুপাত কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে প্রদত্ত অব্যাহতি সুবিধা ক্রমান্বয়ে প্রত্যাহার করা হচ্ছে অর্থাৎ অব্যাহতির ক্ষেত্র সংকুচিত করা হচ্ছে।'
মেট্রোরেল পরিষেবা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় গত বছর মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্যে ভ্যাট ছাড় দিয়েছিল এনবিআর। আর চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তাদের ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার কথা ছিল।
ডিএমটিসিএল সম্প্রতি এনবিআরকে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়াতে চিঠি দিলেও এনবিআর ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
এর আগে একজন এনবিআর কর্মকর্তা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছিলেন, 'এখন এনবিআর এ খাত থেকে আরও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সেটা [ভ্যাট] মওকুফ প্রত্যাহার করতে চায়।'
ওই এনবিআর কর্মকর্তা জানান, আইন অনুযায়ী এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের রেলওয়ে পরিষেবার জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর ধারা ২৬-এ শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত (এসি) ও প্রথম-শ্রেণীর নন-এসি রেল পরিষেবা—কোনোটিতেই যাত্রী পরিবহনের জন্য ভ্যাট ছাড় দেওয়া হয়নি।
মেট্রোরেল যেহেতু সম্পূর্ণ শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত, তাই এ পরিষেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য বলে জানান তিনি।
ওই এনবিআর কর্মকর্তা আরও বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের পর ন্যূনতম দূরত্বের টিকিটের মূল্য হবে ২৩ টাকা, যা বর্তমানে ২০ টাকা। আর সর্বোচ্চ দূরত্বের টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১৫ টাকা হবে।
ডিএমটিসিএলের উপ-প্রকল্প পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া টিবিএসকে জানান, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২.৭ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন।