ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ, ধীর গতিতে চলছে যানবাহন
ঈদ যাত্রার শুরুতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে। ঈদের আগে টোল প্লাজাতেও গাড়ির লম্বা সারিও দেখা গেছে।
ঈদের আগে আর মাত্র এক কার্যদিবস বাকি থাকায় অনেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এতে করে, গতরাত (৪ এপ্রিল) থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে।
যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে মেঘনা সেতু থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মেঘনা-ঘোমতী সেতু পর্যন্ত যানবাহন ধীর গতিতে চলাচল করছে বলে জানান, গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির।
মেঘনা-গোমতী সেতুর পাড় হয়ে কুমিল্লা অংশে মহাসড়কের কিছু অংশ সরু হবার কারণে– সেখানে যানবাহনের জটলা দেখা দেওয়ায় পুরো মহাসড়কজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ধলেশ্বরী টোল প্লাজা ও মাওয়া প্রান্তের পদ্মা সেতু টোল প্লাজায় শুক্রবার ভোর থেকেই কিছুটা যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
এরমধ্যে প্রাইভেট কার ও বাসের সংখ্যাই বেশি। যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন রাখতে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুটি লেন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টোল প্লাজার দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিয়ান রেজা বলেন, 'পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫ হাজার গাড়ি পারাপার হচ্ছে। ঈদ আসলে সেটা বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে ধরে নেই, তবে এখনও সে পরিমাণ যানবাহন পারাপার হয়নি।'
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার সেতু বিভাগের প্রকৌশলী আমিনুল হায়দার জানান, 'যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। একসঙ্গে অনেক গাড়ি আসাতে একটু চাপ বেড়েছিল, তবে এটা স্বাভাবিক। গাড়ি, বাস ট্রাক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির লাইন আলাদা করায় নির্বিঘ্নে পদ্মা সেতুতে টোল দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছে। তবে ভোরের দিকে মহাসড়কে মটরসাইকেলের সংখ্যা একটু বেশি ছিল, সেটাও এখন কমে গেছে।'