মিয়ানমার বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এলো
মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরো ১৩ সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে টেকনাফের নাফ নদীতে নতুন করে বিজিপির ১৩ জন সদস্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, টেকনাফ স্টেশনের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে কোস্টগার্ড উক্ত বিজিপি সদস্যদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) নিকট হস্তান্তর করে। বর্তমানে সেখানে সর্বমোট ২৭৪ জন আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, "নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনে থাকা ২৭৪ জনের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও মিয়ানমারের সেনা সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার মধ্য রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ৪৬ জন পালিয়ে এসেছে। মঙ্গলবার দিনের বেলা প্রবেশ করছিল ১৮ জন। এর আগে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রবিবার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরো ১৪ জন সদস্য।"
তিনি আরো বলেন, "তার আগে থেকে ওখানে ১৮০ জন আশ্রয়রত ছিল। যাদের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।"
এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ জন। তাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।