মিয়ানমারের ২৮৫ সেনা-বিজিপি সদস্যকে ২২ এপ্রিল ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে সরকার। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিকেও ফিরিয়ে আনা হবে। আজ শুক্রবার বিকেল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজযোগে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। ওই জাহাজেই মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশি ফেরত আসবে।' তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত 'ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধর্ণা দিচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে কোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেওয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।'