চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও যশোরে ‘অতি-তীব্র তাপদাহ’
বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপদাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, "পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমুহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।"
আবহাওয়াবিদ মো. শহিদুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, পাবনায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কুষ্টিয়ায় ৪০ ডিগ্রি এবং যশোরে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর দুপুর তিনটায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশের দুটি জেলা বাদে অন্যান্য অংশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই বলেও জানান তিনি।
গতকাল শনিবার ঢাকায় চলতি গ্রীষ্মের সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সতর্কতা জারি করে জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে আগামী পাঁচদিন আবহাওয়ার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে সেটিকে অতি-তীব্র তাপদাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র এবং ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আর ৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়।
এদিকে প্রচণ্ড খরতাপের কারণে সারাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রচণ্ড তাপদাহে এরমধ্যেই দেশে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, গতকাল এদের একজন মারা গেছেন পাবনায়, অন্যজন চুয়াডাঙ্গায়।