তাপপ্রবাহের মধ্যে মঙ্গলবার সারাদেশে ২,০০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং
সোমবারের (২৯ এপ্রিল) তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ কম থাকলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২,০০০ মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, দিনের ব্যস্ত সময়ে বিকেল ৩টায় দেশে ২,১০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়। সে সময়ে ১৬,৪০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল ১৪,২৭৩ মেগাওয়াট।
যেকোনো সময়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ এবং তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যই হলো লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
এ সময় পূর্বাভাস দেওয়া হয়, সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে চাহিদা ১৭,৩০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উঠবে এবং লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২,২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, দেশে অন-গ্রিড স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৭,০৫৭ মেগাওয়াট, তবে জ্বালানি ঘাটতি এবং প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির কারণে এর প্রায় ৭,০০০ মেগাওয়াট বর্তমানে হিসাবের বাইরে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এনএলডিসির তথ্য উল্লেখ করে ইউএনবিকে বলেন, "গ্যাসের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪,৭৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।"
নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে আরও ২,১৯৬ মেগাওয়াট উৎপাদনের বাইরে রয়েছে।
স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২,৩১৭ এমএমসিএফডির চাহিদার বিপরীতে তারা প্রতিদিন ১,২৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস পাচ্ছেন।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকরা এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রধান শিকার; কারণ অনেক অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হয়।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তার মতে, "গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘন ঘন হয় যে, যেকোনো বিপত্তি হলেই গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ফিরে পেতে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।"
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ঢাকা অঞ্চলে ৩৬০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামে ১৬৫ মেগাওয়াট, খুলনায় ১৩২ মেগাওয়াট, রাজশাহীতে ১৮২ মেগাওয়াট, কুমিল্লায় ২৪৫ মেগাওয়াট, ময়মনসিংহে ২৭৫ মেগাওয়াট, সিলেটে ৪৪ মেগাওয়াট এবং রংপুরে ১৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।