আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টার সঙ্গে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোটার্স বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা জানান।
দেশজুড়ে সাম্প্রতিক লোডশেডিং সম্পর্কে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, "বড়পুকুরিয়ায় কারিগরি সমস্যা হয়েছে— যা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে; রামপাল পুনরায় চালু হয়েছে; আদানির সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং দ্রুত গ্যাস আমদানি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থার উন্নতি হবে বলে আমরা আশাবাদী।"
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, "বর্তমান সরকারের সাথে অন্য সরকারের পার্থক্য হল, বর্তমান সরকার কোনো পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত নয়, এই সরকার বহু ছাত্র-জনতার রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে গঠিত।"
ফাওজুল কবির খান বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ২০১০ সালের বিশেষ আইন স্থগিত ও বিআরসি আইনের ৩৪ক ধারা বাতিল, তেলের দাম কমানো, কোম্পানির চেয়ারম্যান থেকে সচিবদের অপসারণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লুটপাটের কাঠামো ভেঙে দেওয়া, বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের জন্য বদলি ও নিয়োগের নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাতে কাজ পাওয়া যায়, সেটি নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন। ওপেন ট্রেন্ডারে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা জানান, তার কোনো পছন্দের লোক নেই। তিনি কোনো পরিসংখ্যানে বিশ্বাস করেন না, মানুষের সত্যিকারের কি উপকার হলো, তার মাধ্যমে কাজের বিচার করা হবে। উন্নয়ন বিচার করা হবে বাস্তব অবস্থা দিয়ে।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিদল ফাওজুল কবির খানকে নতুন দ্বায়িত্বের জন্য স্বাগত জানিয়ে বলেন, তারা তাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে এখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরে একটি টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গঠনে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
মতবিনিময় সভায় সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ডিরেক্টর ও এক্সিকিউটিভ মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।