ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের অনুমোদন দেবে কে? নেই কোনো স্পষ্ট উত্তর
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো প্রশ্ন তুলেছে, এ ধরনের পানীয়ের অনুমোদন দেয়ার জন্য কোন কর্তৃপক্ষ দায়ী? তারা দাবি করেছেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনে (বিএসটিআই) আবেদন করার পরেও তারা অনুমোদন পাননি।
সম্প্রতি কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পাঁচটি ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে সাত কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।
ড্রিংকগুলো হলো একমি ও এসএমসি কোম্পানির এসএমসি প্লাস, প্রাণের অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা ব্রেভারেজ লিমিটেডের ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী কোম্পানির রিচার্জ এবং আকিজের টারবো।
১৪ মে বিএফএসএ পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ করার জন্য বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কামরুল হোসেন টিবিএসকে বলেন, "বিএসটিআই বা ঔষধ প্রশাসন কারও থেকে এসব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। 'নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩' অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যের গায়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত অভিব্যক্তি রয়েছে যেটি নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী অপরাধ।"
সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) মার্কেটিং এর জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার শামীম রহমান টিবিএসকে বলেন, "ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে আমরা বিএসটিআইয়ের সাথে বসেছিলাম। কিন্তু বিএসটিআই যেসব পণ্যের অনুমোদন দিতে পারে সে তালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নেই। তাদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, এটার অনুমোদন লাগবে না। যখন নতুন করে এটাকে ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হবে তখন অনুমোদন দেয়া হবে।"
তিনি বলেন, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস যেহেতু ঔষধ না সেহেতু ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার কোনো দরকার নেই। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ক্লান্তি দূর করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।
তিনি প্রশ্ন করেছেন, "এখানে এ পণ্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। তাহলে অনুমোদন প্রদানের দায়িত্ব কার?"
অনুমোদনের বিষয়ে বিএসটিআই-এর উপপরিচালক মো: রিয়াজুল হক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ের জন্য এখনো কোনো ক্যাটাগরি না থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় পড়ে না। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিতে পারিনি। কিন্তু যেহেতু বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার রয়েছে, আমরা মান তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছি। তারপর অনুমোদন দেয়া যাবে।"
খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বলেন, "একটা পণ্য বাজারে আছে, তাহলে এটার অনুমোদন দিল কে? যে পণ্যই হোক, ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন নিতে হবে। আইন অনুযায়ী ব্যবসা করতে হবে।"