অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রি: এসএমসি প্লাস-এর চেয়ারম্যানকে অর্থদণ্ড
অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এসএমসি প্লাস-এর চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান।
তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'এসএমসি প্লাস দুটি কোম্পানির পণ্য। এর মধ্যে একটি আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিয়েছেন। এ কারণে বিষয়টি এখনও পুরোপুরি সুরাহা হয়নি।'
'আমি বলেছি, যেকোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই এসব ড্রিংকস বাজারজাত করা হোক,' বলেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে ৭টি কোম্পানির পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন এ পরিদর্শক। এগুলো হলো একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী'র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।
মো. কামরুল হাসান বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর অধীনে মামলাটি দায়ের করেন।
কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বাজারে সরবরাহের আগে বিএসটিআই-এর কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে সংস্থাটির ক্যাটাগরিতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস না থাকায় অনুমোদন দেওয়া যায়নি।
সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) জেনারেল ম্যানেজার (বিপণন) খন্দকার শামীম রহমান টিবিএসকে বলেন, 'ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নিয়ে আমরা বিএসটিআইয়ের সঙ্গে বসেছিলাম। কিন্তু বিএসটিআই যেসব পণ্যের অনুমোদন দিতে পারে সে তালিকায় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস নেই। তাদের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, এটার অনুমোদন লাগবে না। যখন নতুন করে এটাকে ক্যাটাগরিতে যুক্ত করা হবে তখন অনুমোদন দেওয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস যেহেতু ঔষধ না, তাই ঔষধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ক্লান্তি দূর করে এবং এটি স্বাস্থ্যকর পানীয়।'
তিনি প্রশ্ন করেন, 'এখানে এ পণ্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাহলে অনুমোদন প্রদানের দায়িত্ব কার?'
অনুমোদনের বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশ (বিএসটিআই)-এর উপপরিচালক মো. রিয়াজুল হক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়ের জন্য এখনো কোনো ক্যাটাগরি না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, 'ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় পড়ে না। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিতে পারিনি। কিন্তু যেহেতু বিভিন্ন দেশে এর ব্যবহার রয়েছে, আমরা মান তৈরির বিষয়ে আলোচনা করছি। তারপর অনুমোদন দেয়া যাবে।'