সাগর উত্তাল থাকায় বন্দরের জেটিতে একটি জাহাজও ভেড়ানো যায়নি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবার সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে একটি জাহাজও ভেড়ানো যায়নি। তবে এখন শুধু বন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম চলছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে রবিবার (২৬ মে) সকালের জোয়ারে জেটি থেকে ১৯টি জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও পণ্য খালাস বন্ধ করে ৪৯ টি খোলা পণ্যবাহী জাহাজ সাগরে পাঠানো হয়েছিল। এতে বন্দর জেটি ফাঁকা হয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে দেওয়া ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত প্রত্যাহার করা হয়। এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ ঘোষণার পর সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরের সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ৩টার জোয়ারে সাগর থেকে ১৯টি জাহাজ জেটিতে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে কর্ণফুলী নদী ও সাগরে প্রচণ্ড ঢেউ থাকায় বন্দরের পাইলটরা সাগরে নোঙর করে রাখা জাহাজে যাওয়ার সুযোগ পাননি। ঝুঁকি বিবেচনায় একটি জাহাজও জেটিতে আনা যায়নি।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, 'বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর থেকে কোনো জাহাজ জেটিতে আনা যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী জোয়ারের সময় জাহাজ ফেরত আনা হবে। বন্দর ইয়ার্ড থেকে পণ্য ডেলিভারি দেওয়া শুরু হয়েছে।'