বারিধারায় পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত: এ পর্যন্ত যা জানা গেল
বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে (কূটনৈতিক এলাকা) একজন পুলিশ কনস্টেবল তার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ সবকিছু শুনে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
পুলিশ প্রধান গতকাল গভীর রাতে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১১টার পর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও কাওসার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন কাউসার। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মারা যান মনিরুল। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখও আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সড়কে যান চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাউসারকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আইজিপিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, মনিরুলকে গুলি করে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে এসে দাঁড়ায় কাউসার। মনিরুল কেন রাস্তায় পড়ে আছে জানতে চাইলে কাউসার জানান, তিনি 'নাটক' করছেন।
এরপর কাউসার দূতাবাসের প্রধান ফটকের উল্টো পাশের সড়কে চলে যায়। পরে ঘটনা বুঝতে পেরে নিরাপত্তারক্ষীরা কাউসারকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময়ে তারা ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন।
আহত চালক সাজ্জাদ শেখকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে।