রক্তে সিসা, ভারী ধাতু নির্ণয়ে জরিপ করবে পরিসংখ্যান ব্যুরো
প্রথমবারের মতো রক্তে সিসা, ভারী ধাতু ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের মাত্রা এবং রক্তশূন্যতার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য জরিপ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজধানীতে 'মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস): রাউন্ড ৭ (২০২৪-২৫)' কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের সহায়তায় এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বাংলাদেশে প্রথম এমআইসিএস পরিচালিত হয় ৩০ বছর আগে। তবে এবারই প্রথম রক্তে সিসাসহ অন্যান্য ভারী ধাতুর মাত্রা নির্ণয়ের বিষয়গুলো যুক্ত করা হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের চারপাশে সিসাসহ ভারী উপাদানের উপস্থিতি শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এ জরিপের তথ্যের সাহায্যে পরিবেশগত ঝুঁকি সময়মতো নির্ণয় ও মোকাবিলার মাধ্যমে শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব।
তারা বলেন, এমআইসিএস হলো একটি পারিবারিক জরিপ। এর মধ্য দিয়ে শিশু ও নারীদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। জরিপের তথ্য-উপাত্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিশু ও নারীদের বিষয়ে নীতিমালা তৈরি, পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি প্রণয়নে সহায়তা করে।
এর আগে ২০১৯ সালে ৬৪ হাজার পরিবারের নারী ও শিশুদের ওপর এমআইসিএস পরিচালিত হয়েছিল এবং ১৪৪টি সূচক তুলে ধরা হয়েছিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, 'জরিপটি আমাদের দেশে শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের চাহিদার বিষয়ে সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এ জরিপের ফলাফল আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তথ্যের ঘাটতি পূরণ করতে এবং সময়োপযোগী তথ্যের মাধ্যমে কার্যকর পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে সক্ষম করবে।'
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'এই জরিপ প্রতিটি শিশুর প্রয়োজন ও তাদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে জরিপটি থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের শিশু ও তাদের পরিবার প্রতিদিন যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, সেগুলোর সময়োপযোগী সমাধানে আমাদের প্রচেষ্টাকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে।'
দেশের প্রধান দুই সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণসহ সারাদেশে এই জরিপ পরিচালিত হবে। তাছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জনসংখ্যা ও তাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি উপাত্ত এই জরিপে সংগ্রহ করে একটি আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।