মারা গিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ধার হওয়া সেই গন্ধগোকুল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে অসুস্থ অবস্থায় গত ১ জুলাই সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া একটি গন্ধগোকুল (Viverra zibetha) আজ মারা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে প্রাণীটি মারা যায় বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, 'গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধারের পর এটির শরীরের বিভিন্ন উপসর্গ শুনে বন বিভাগ ধারণা করেছে, এটি খুব সম্ভবত জলাতঙ্ক কিংবা কেনাইন ডিস্টেম্পার রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।'
দুটিই ভাইরাল রোগ হওয়ায় বন বিভাগের পরামর্শে উদ্ধারের পর গন্ধগোকুলটিকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
'আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারে পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় এটি মারা যায়,' বলেন অধ্যাপক কামরুল।
'আমরা প্রাণীটির মুখের লালা ও পায়ুপথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। এটি কী রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, তা জানার জন্য নমুনা বন বিভাগের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে,' যোগ করেন এ অধ্যাপক।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন-এর জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া টিবিএসকে বলেন, 'গন্ধগোকুলটি উদ্ধারের সময় এর খিচুনি, পায়ুপথ দিয়ে রক্তস্রাব, মুখ থেকে লালা ঝরা ইত্যাদি উপসর্গ ছিল।'
'আমাদের ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আজ প্রাণীটিকে অনুমতি নিয়ে মিরপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তার আগেই এটি মারা যায়,' বলেন তিনি।
এর আগে গত ৩০ জুন রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকায় এলোমেলোভাবে ঘুরতে দেখা যায় প্রাণীটিকে।
এরপর ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় এটিকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান টিবিএসকে বলেন, 'খাটাশ বা বাঘডাঁশ নামেও পরিচিত এ প্রাণী অত্যন্ত লাজুক স্বভাবের। সচরাচর এটিকে মানুষের আশপাশে আসতে দেখা যায় না। নিশাচর প্রাণী হওয়ায় এটি রাতেই খাবারের সন্ধানে বের হয়।'