পিএসসির প্রশ্নফাঁস: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ৭ জন আদালতে, কারাগারে ১০
চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনের মধ্যে ৭ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি দশ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক তাহমিনা হক আদেশ দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির এক কর্মকর্তা টিবিএসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গত দুই দিন অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে আটক করে সিআইডি। পরে আজ পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হওয়া আসামীরা হলেন— সৈয়দ আবেদ আলী, পিএসসির ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, ব্যবসায়ী সাইম হোসেন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার।
কারাগারে পাঠানো ১০ আসামি হলেন— আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির নোমান সিদ্দিক, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী মো. শাহাদত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান নিয়ামুল হাসান ও জাহিদুল ইসলাম।
সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসে বিসিএস-সহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, পিএসসির ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন ফাঁসের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
সরকারি কর্ম কমিশনসহ (পিএসসি) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪০- ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরমধ্যে আটক ১৭ জনসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করে সিআইডি।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস এর উপ-পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।