দ্বিপাক্ষিক আইসিটি বাণিজ্য বাড়াতে নতুন ডেস্ক চালু বেসিস, মার্কিন দূতাবাসের
আমেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দেশটিতে বাংলাদেশের সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়াতে 'বেসিস আমেরিকা ডেস্ক' চালু হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং ঢাকায় আমেরিকান দূতাবাস যৌথভাবে এ ডেস্ক চালু করেছে।
রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ডেস্কের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
এ সময় বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, "আমেরিকায় বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতকে তুলে ধরা এবং আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন বাণিজ্য–সম্পর্কিত বিষয়ে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করবে বেসিস আমেরিকা ডেস্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক সহযোগিতা জোরদার করতে আমরা কাজ করবো।"
তিনি বলেন, "সরকারে লক্ষ্য আগামী ৫ বছরে আইসিটি খাত (তথ্যপ্রযুক্তি খাত) থেকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া। তবে আমরা মনে করি, সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে শুধু আমেরিকা থেকেই এ আয় করা সম্ভব।"
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসিসের পরিচালক এম আসিফ রহমান। তিনি বলেন, "বিশ্বব্যাপী আমাদের আইটি ও আইটিইএস পরিষেবা রপ্তানির বাজার ১.৯ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়— যার পরিমাণ ২৭ শতাংশ।"
বক্তব্যকালে বেসিসের পরিচালক সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইনিং, সামরিক ও সরকারি বিমানের জন্য আইওটি সমাধান, এআই-এনাবল্ড এভিয়েশন অপারেশন, বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি এবং সফ্টওয়্যার উন্নয়নের ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি উদ্যোগের সাফল্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, "বেসিস আমেরিকা ডেস্ক বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আইসিটি খাতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।"
"বদ্ধ বাজারকে উন্মুক্ত বাজারে রূপান্তর করা লাভজনক। এমনকি, বাংলাদেশ তার পোশাক এবং সফ্টওয়্যার রপ্তানির দক্ষতা বাড়াতে এআইয়ের ব্যবহার করতে পারে। তবে এর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, একইসঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নে মনযোগ দিতে হবে," যোগ করেন রাষ্ট্রদূত।
এ সময় সালমান এফ রহমান বলেন, "সাবমেরিন ক্যাবল বর্তমানে দুটি চালু আছে। দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন করতে দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন করেছি।"
"বৈশ্বিক বাজারে অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে প্রণোদনাও দিচ্ছে সরকার। পরিষেবা রপ্তানি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, তাই এগিয়ে থাকতে এক্ষেত্রে গুণমান বজায় রাখা জরুরি," যোগ করেন তিনি।