বিএনপির গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির পর নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পুলিশের
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে গতকাল মঙ্গলবার নিহত ছয়জনের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিএনপি গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির আয়োজন করে। এদিন সকাল থেকেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। মুসল্লিদের তল্লাশির পর মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হয়।
দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দলের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। এরপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এর আগে সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নিয়েছে।
গায়েবানা জানা কর্মসূচির পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু সময় বক্তব্য দেন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ নেতা-কর্মীরা বায়তুল মোকাররমে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তবে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি এর নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করতে পারত। তা না করে বর্বরভাবে হামলা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল কথা বলে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বের হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী স্লোগান দেওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারাও ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।