ইন্টারনেট চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে ফ্লাইট চলাচল ও এয়ার টিকেটিং পরিষেবা
ঢাকা বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইন অফিসগুলোতে ইন্টারনেট সেবা পুনরায় চালু হওয়ায় পর থেকে ফ্লাইট চলাচল এবং এয়ার টিকেটিং পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
বিমান পরিষেবা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টদের মতে, বুধবার (২৪ জুলাই) বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এবং বিমানবন্দরগুলোর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালিত হয়।
এয়ারলাইন্সলো টিকেট বিক্রয় অফিস পুনরায় চালু করার পাশাপাশি আংশিক অনলাইন টিকেট বিক্রি শুরু করেছে। শেয়ার ট্রিপ, ফ্লাইট এক্সপার্ট এবং গোজায়ানের মতো অনলাইন ট্রাভেল এজেন্টরাও পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে।
পাঁচ দিনের সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দেয়। তারপর থেকেই বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মতে, আর্থিক, শিল্প, রপ্তানি-আমদানি, লাভজনক ও জরুরি পরিষেবা, কূটনৈতিক, আইটি, মিডিয়াসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, "আমরা টিকেট বিক্রি, কার্গো, ফ্লাইট চলাচল এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো সীমিত কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে কিছু বিভাগ এখনও পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট সেবা পায়নি।"
বিমানের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে ম্যানুয়ালি পরিচালিত বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (পিআর) কামরুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, "আমাদের বিক্রয় কাউন্টার সক্রিয় রয়েছে। বিমানবন্দরে চেক-ইন এবং ডেটা ব্যবস্থাপনার মতো বেশিরভাগ কার্যক্রম এখন অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে চলছে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ অপারেশন আজ [গতকাল] অনলাইনে পরিচালিত হয়েছে।"
ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হলে আজকের মধ্যে সম্পূর্ণ অনলাইন কার্যক্রম পুনরায় চালু করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এয়ার অ্যাস্ট্রার ডেপুটি ম্যানেজার সাকিব হাসান শুভ বলেন, ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় অনলাইনে টিকেট বিক্রিতে তারা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
তিনি বলেন, "আমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে টিকেট বিক্রি করার চেষ্টা করলেও ইন্টারনেটের গতি না থাকায় ব্যর্থ হয়েছি।"
সাকিব জানিয়েছেন, তারা ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়েছেন কারণ অবসরে ভ্রমণকারীরা কারফিউয়ের মধ্যে আপাতত ভ্রমণ করছেন না।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, "বুধবার (২৪ জুলাই) আমরা মাত্র সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছি যেখানে প্রতিদিন ১৩টি ফ্লাইট আমরা পরিচালনা করে থাকি। কক্সবাজার ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে।"
ঢাকা বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের স্টাফ অফিসার স্কোয়াড্রন লিডার রাসেল নিশ্চিত করে বলেছেন, মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকে চেক-ইন কাউন্টারগুলো সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে বিমানবন্দর এলাকায় ইন্টারনেটের গতি কম বলে জানিয়েছেন তিনি।