কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ৬ সমন্বয়ককে ছেড়ে দিয়েছে ডিবি। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা টিবিএসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা দেড়টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে ডিবি কার্যালয় থেকে তারা বেরিয়ে যান।
এদিকে ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ককে নিঃশর্ত মুক্তির জন্য গতকাল ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। গত বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে- তারা মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করবেন।"
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের মির্জা তাসলিমা সুলতানা, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ডিবিতে থাকা ছয় সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে গত শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে আনা হয়। তারা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের।
এর পরেরদিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকেই এসব সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ডিবির দাবি করেছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে এসব সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।