ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের পর বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের গণহত্যার কোনো চিহ্ন অবশিষ্ট নেই। প্রায় প্রতিটি কক্ষ ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে; শুধুমাত্র পোড়া দেয়াল দাঁড়িয়ে আছে।
ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর বিক্ষুব্ধ একদল জনতা ঐতিহাসিক এই বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে ঘুরে দেখা যায়, আগুন নিভে গেলেও ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। ধ্বংসস্তুপ দেখতে অনেকেই আসেন; কেউ ছবি তোলেন, কেউ ভিডিও করেন। শিশুদের কোলে করে নিয়েও আসতে দেখা গেছে অনেক অভিবাবককে।
ভবন থেকে খুলে নেয়ার মতো কিছু অবশিষ্ট ছিল না। ভেতরের কোনো মালামাল অবশিষ্ট নেই। তবুও কয়েকজন ছিন্নমূল শিশুকে জানালার নাট-বল্টু খুলতে দেখা গেছে।
বাড়ির যেই সিঁড়িতেই পড়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহ, কাঁচ দিয়ে ঘেরা থাকায় সেই সিঁড়ি দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারতো না; দুর থেকে দর্শনার্থীরা দেখতো। এখন সেই সিড়ি মাড়িয়ে উৎসুক জনতাতে হাটতে দেখা গেছে।
মূল ভবনের উত্তরে একটি নুতন সম্প্রসারিত ভবন করা হয়েছে। সেটির ষষ্ঠ তলায় হাজার হাজার বই ও ঐতিহাসিক ছবি সম্বলিত একটি লাইব্রেরি ছিল। এখানে উৎসুক দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী মোহম্মদ সুলতান বলেন, "আমরা সকাল ৯টা থেকে এখানে আছি। লুট থেকে বেচে যাওয়া বই ও বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করছি।"
তৌফিক রিয়াজ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা জাতীয় গ্রন্থাগারকে বলেছি, আমরা যা সংগ্রহ করেছি তা নিয়ে যেতে। সেখানে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার বই ছিল। যতগুলো বই পাওয়া যাবে আমরা উদ্ধার করব।"