বড় দেশগুলোর সঙ্গে সুষম সম্পর্ক চান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রার শুরুতে বিশ্বের বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এছাড়া সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, 'আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। বড় দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।'
এই মুহূর্তে দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই মূল অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথম লক্ষ্য অর্জিত হলে বাকিগুলোও সঠিক পথে ফিরবে।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে নতুন যাত্রার আশা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শপথ নেওয়ার পরই দেশজুড়ে সহিংসতা বন্ধে ড. ইউনূসের আহ্বানকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশটি।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলেছে, তারা বাংলাদেশের নতুন (অন্তর্বর্তীকালীন) সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের এই জটিল পরিস্থিতিতে সমর্থন দিতে আগ্রহী।
ইইউয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যদের শপথ গ্রহণকে স্বাগত জানাচ্ছে ইইউ।'
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকালে প্রবেশ করছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত এবং যেসব মৃত্যু ও সহিংসতা ঘটেছে তার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে।