অব্যাহতি চেয়েছেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন অধ্যাপক মো. আবু তাহের।
রোববার (১১ আগস্ট) রাতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব বরাবর এক আবেদনে উপাচার্যের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার পুরাতন কর্মস্থল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে যোগাদানের অনুমতি চান তিনি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ।
তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সচিবালয় থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল উপাচার্যকে। এজন্য উপাচার্য ওই কর্তৃপক্ষ বরাবর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন। সেটি রাষ্ট্রপতি হয়ে অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি। এছাড়া, সব আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা পদত্যাগ করেন।"
গত বুধবার দিবাগত রাতে উপাচার্যসহ প্রশাসনের সকল পদে থাকা ব্যক্তির পদত্যাগের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে এই সময়সীমা বাড়িতে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত করা হয়।
কিন্তু পদত্যাগ না করায় শুক্রবার থেকে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন উপাচার্যের বাসভবন ও প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দিয়েছিলেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক ও সব হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আগের সরকারের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে উপাচার্য পদ পেয়েছেন অধ্যাপক আবু তাহের। আন্দোলন চলাকালে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্রীদের রাতেই জোর করে আবাসিক হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের ইচ্ছায় আবাসিক হলে থাকতে দেওয়া হয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় মদদ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এজন্য তারা স্বৈরাচারের দোসর প্রশাসনের শেষ ব্যক্তিটির পদত্যাগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পদে থাকতে তিনি রোববার পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন মহলে তদবির করে গেছেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক আবু তাহেরকে চলতি বছরের ১৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০ মার্চ তিনি দায়িত্ব নেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক।