বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের একদফা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগে একদফা ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেননি তিনি। তার বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ রয়েছে।
তারা বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জুলাই বিপ্লবের হামলাকারী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।'
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জুলাই বিপ্লবের পর ২২ দফা দাবি পেশ করা হলেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নেই। দুর্ঘটনা রোধে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।'
তারা জানান, আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। 'আমরা তার সম্মানার্থে বসব এবং তার বক্তব্য শুনব। তবে, তার পদত্যাগের দাবি থেকে আমরা সরে আসব না।'
দাবির বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন রাসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান এবং শহিদুল ইসলাম শাহেদ। এছাড়াও প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ড. শুচিতা শরমিনের কক্ষে তালা দিয়ে নামফলক খুলে নিয়ে যান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে 'আওয়ামী দোসর' পুনর্বাসন করার অভিযোগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে উপাচার্য পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ও প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে ২৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সুচিতা শরমিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি ও এমএসসি সম্পন্ন করার পর ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন শুচিতা শরমিন। পরে তিনি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিষয়ে পিএইচডি করেন।