এতদিন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে নিপীড়নের নীতি প্রচলিত ছিল: প্রধান বিচারপতি
নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, "এতদিন ন্যায়বিচারের পরিবর্তে নিপীড়নের নীতি প্রচলিত ছিল। এখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
একইসঙ্গে, ছাত্র-জনতার সীমাহীন আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে বিজয় এসেছে, তার প্রতি সম্মান রেখে সততার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
আজ সোমবার (১২ আগস্ট) আপিল বিভাগে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে আপিল বিভাগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, "শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহাজাগরণের উন্মেষ ঘটিয়েছেন। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলে আমার কাঁধে যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা আমি পালন করে যাব। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে।"
বক্তব্যের শুরুতে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণ করে বলেন, "সারা দেশের ছাত্র-জনতা ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলেন তাদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছি।"
এ সময় কোনো প্রকারের বিচ্যুতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, "নিম্ন আদালতের বিচারকদের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তারা ন্যায়বিচারের জন্য তাকিয়ে আছেন।"
এর আগে, সকাল ৭টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
পরে সাভার থেকে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে জাতীয় শহিদ মিনারে পৌঁছান। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একইসঙ্গে জাতীয় শহিদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।