রাজশাহীতে থানায় ফিরে কাজে যোগ দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা
কাজে ফিরতে শুরু করেছেন রাজশাহীর পুলিশ সদস্যরা। তারা থানায় ফিরে কাজে যোগদান শুরু করেছেন। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশকেও সড়কে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে আগুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থানা– বোয়ালিয়া মডেল থানা। সেই থানাতেও পুলিশ সদস্যরা ফিরে কাজে যোগদান করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, থানার প্রধান ফটক পার হয়ে মূল ভবনের গেটে কয়েকজন পুলিশ সদস্য চেয়ারটেবিল, খাতা-কলম নিয়ে বসে থানার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মামলার বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় এক নারীকে। ভবনের ভেতরে পুড়ে যাওয়া মালামাল ঝাড়ু দিয়ে এক জায়গায় স্তূপাকারে রাখা আছে। বাইরে পোড়া গাড়িগুলো তখনো পরে রয়েছে। প্রধান ফটকের সামনে সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরাও ডিউটিতে রয়েছেন। তবে থানায় পুলিশ সদস্যরা সব সিভিল ড্রেসেই থানায় এসেছেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদস্যরা থানায় এসেছেন এবং জিডি লেখা ও মামলা নেওয়াসহ থানার নন-অপরেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়নি। তারপরও চার্জশিটভুক্ত মামলার আসামিদের গতকাল কোর্টে নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, থানার ভেতরে কক্ষগুলো কোনোরকমে পরিষ্কার করে কাজ শুরু করেছেন। ব্যারাকে থাকতেও শুরু করেছেন পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশদের সড়কে ফিরে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। সকালে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সেখানে দায়িত্বরত রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট মো. ফিরোজ হোসাইন বলেন, ১৪ জন পুলিশ সদস্য সিঅ্যান্ডবি মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমে যোগদান করেছেন। সকাল ১০টায় তারা কাজে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইমস অ্যান্ড অবস) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম জানান, সব থানায় পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জিডি ও মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় টহল পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। আজ নগরীর একটি সিঅ্যান্ডবি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামীকাল আরও চার থেকে পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে আজ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সদর দপ্তর থেকে লুট হওয়া মালামাল ফেরত দিতে নিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। সেনাবাহিনীর সহায়তায় শিক্ষার্থীরা অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া মালামাল ফেরত নিয়ে আসছেন।
রাজশাহীর জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, জেলার আটটি থানাতে কাজে যোগদান করেছেন পুলিশ সদস্য। এছাড়া টহল পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ মাঠে কাজ করছেন।