স্বাভাবিক যাত্রী নিয়ে চলতে শুরু করেছে কমিউটার ট্রেন
লোকাল, মেল এবং কমিউটার ট্রেনগুলো স্বল্প-দূরত্বের রুটে চলাচল শুরু করেছে। এসব ট্রেনে যাত্রীর উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) স্বাভাবিক ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে এসব ট্রেন পরিষেবা চালু হয়।
'স্বল্প দূরত্বের মেল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলো সকাল থেকে নির্বিঘ্নে চলছে। দীর্ঘ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ট্রেনগুলো চালু হয়েছে, তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা যাযনি। যাত্রীরা কোনো ঝামেলা ছাড়াই টিকিট কিনেছেন। ট্রেনগুলো যথাসময়ে স্টেশন ছেড়েছে,' বলেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন।
মালবাহী ট্রেন চলাচল গতকাল (১২ আগস্ট) থেকে পুনরায় চলাচল শুরু হয়। রেল কর্তৃপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পরিকল্পনা করছে।
'আন্তঃনগর ট্রেনগুলো দীর্ঘ দূরত্বে চলাচল করে, প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত চলে। তাই এগুলোর বাড়তি নিরাপত্তা দরকার। এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রেলওয়ে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) দরকার। এ কারণেই আমরা আন্তঃনগর ট্রেন পুনরায় চালু করার আগে কিছু সময় নিচ্ছি,' বলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী।
অবশ্য রেলওয়ের কর্মকর্তারা আন্তঃনগর ট্রেন চালুতে বিলম্বের পেছনে আরও কিছু কারণের কথাও উল্লেখ করেছেন।
'আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সাধারণত অগ্রিম বিক্রি করা হয়, তাই যাত্রীদের টিকিট বুক করার জন্য কয়েক দিন সময়ের প্রয়োজন। এছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর যাত্রীদের আরামের কথা চিন্তা করে কর্মীদেরকে নির্বিঘ্নে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতেও সময় প্রয়োজন,' তারা বলেন।
কোটাসংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই ঢাকার মহাখালী রেলক্রসিং অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্ধ রাখা হয় রেল যোগাযোগ।
এরপর সরকার কারফিউ জারি করলে ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।
রেল কর্তৃপক্ষের মতে, আন্দোলন ও সহিংসতার সময় সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২৪ জুলাই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেদিন রাতে কর্তৃপক্ষ পরদিন অর্থাৎ ২৫ জুলাই থেকে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে।
পরবর্তীসময়ে কারফিউ শিথিলের সময় ১–৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছিল।