গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা কাটল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচার ও প্রকাশে ২০১৫ সালে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে সরকার কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি হাইকোর্টের জারি করা রুলও খারিজ করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে আর কোনো বাধা থাকল না।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, '২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
'আজ [বৃহস্পতিবার] এ বিষয়ে করা রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন আদালত। আমার মনে হয় আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।'
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ও আইনের দৃষ্টিতে পলাতক তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচারের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে একটি রুল জারি করে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।
দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০১৪ সালের শেষ দিক থেকে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্যের জন্য।
লন্ডনে বসে তিনি তার পিতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেছিলেন। কয়েকটি সভায় দেওয়া বক্তব্যের জন্য বাংলাদেশে অনেকগুলো মামলাও হয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল আদালত থেকে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তারেক রহমানের একটি বক্তব্য বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচার হয়, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর [শেখ হাসিনা] পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলেছিলেন।
এর প্রেক্ষিতে জনৈক আইনজীবী তারেকের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ওই রিট আবেদনটি করেছিলেন।