বন্যায় পূর্বাঞ্চলের ১৩ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
সাম্প্রতিক বিধ্বংসী বন্যায় বিভিন্ন রুটের প্রায় ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চার দিন দেশের পূর্বাঞ্চলে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
তবে নিমজ্জিত অংশের মধ্যে ১৩ কিলোমিটার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের ফাজিলপুর থেকে ফেনী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলাকা।
রেল কর্মকর্তারা জানান, এখানকার দুটি ট্র্যাকের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বন্যায় চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং লাকসাম-নোয়াখালী রেললাইন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশল অফিস জানিয়েছে যে, মোট ৫৬ কিলোমিটার রেলপথ ডুবে গেছে, প্রায় ১৩ কিলোমিটার উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ রাফি মো. ইমতিয়াজ হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, বন্যায় বিভিন্ন রুটে বিভিন্ন মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফাজিলপুর থেকে ফেনী পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রেললাইন, যেখানে দুটি রেললাইনের একটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এই অংশটি চার দিন পানির নিচে ডুবে ছিল। লাইনের পাথর ভেসে গেছে এবং রেললাইনের স্লিপারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রুটের একটি সিঙ্গেল লাইন চালু করে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের জানালীহাট, পটিয়া ও কাঞ্চননগর পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ এবং নাজিরহাটের কাছে ষোলসার-নাজিরহাট রুটের ৫ কিলোমিটার অংশও রয়েছে। এই অংশগুলো ডুবে গিয়েছিল, যার ফলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছিল। লাকসাম-নোয়াখালী নৌরুট আংশিক তলিয়ে গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৯ কিলোমিটার রেলপথের ১৫ কিলোমিটার এখনও পানির নিচে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং তারা এখনও মেরামতের আনুমানিক ব্যয় জমা দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে বন্ধ থাকার পরে ক্ষতিগ্রস্ত রুটগুলোতে ট্রেন পরিষেবা ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ২৬ আগস্ট রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে সীমিত আকারে ট্রেন চলাচল শুরু হয় এবং পরের দিন থেকে সম্পূর্ণ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। একইভাবে রেললাইন ডুবে যাওয়া ও পাহাড় ধসের কারণে বন্ধ থাকার তিন দিন পর ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেল বিভাগ এখন ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামত এবং সব ক্ষতিগ্রস্ত রুটে নিরাপদে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু করার ব্যাপারে কাজ করছে।