উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দামে বেশি ব্যবধান থাকবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দামে বেশি ব্যবধান থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, 'উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে এসব পণ্যের দাম কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন খরচের বাহিরে অস্বাভাবিক মুনাফা করা যাবে না বলে জানিয়েছি উৎপাদনকারীদের। উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, তারা এ বিষয়টা দেখবে।'
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রিখাত সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, বন্যার কারণে বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে এই উৎপাদন দ্রুতই স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পোল্ট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের আমরা যদি উজ্জীবিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না। সেজন্য আমার প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। এরমধ্যে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে পোল্ট্রিখাতের ডিম মুরগি ও এর বাচ্চার দাম কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ছোট-বড় উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণনকারীদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন, পোল্ট্রি উৎপাদন পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা আছে। তবে উৎপাদনকারীরা উৎপাদন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সিন্ডিকেট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বভাব হয়ে গেছে, তারা একটু বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে সবসময়। কথায় আছে না, তারা ইল মাছের মতো, ধরা কঠিন। পিছলে যাচ্ছে। তবে এখন থেকে এগুলো ধরা সম্ভব হবে।
ডিম মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বেশি সমস্যা হলে ডিম ও মুরগির দাম বেধে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করবে। ট্যারিফ কমিশন আছে, তাদের সহযোগিতা নিতে পারে।
তিনি বলেন, আমারা ব্যবসায়ীদের বলেছি এখন তেলের দাম কমেছে। আপনাদের পরিবহন খরচ কমে যাবে। জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে। বাংলাদেশের একবার দাম উঠলে আর নামেনা, সেটা হবেনা।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরে পণ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, এখন যে পণ্যমূল্য, তা খুব যে খারাপ সেটা বলা যাবেনা। এটাকে আরও সুখকর করা যায় কিনা সে চেষ্টা করা হচ্ছে।