রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল নিয়ে দায়মুক্তির বিধান কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
রেন্টাল (ভাড়ায় চালিত) ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনায় দায়মুক্তির বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আইন, অর্থ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবদের, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০' এর ৯ ও ৬ (২) ধারা অনুযায়ী, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন বা মামলা করা যাবে না।
এই ধারা দুটি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্টে বেঞ্চ আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এই রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক। তার সাথে ছিলেন রিটকারী অপর আইনজীবী তায়েব উল ইসলাম সৌরভ।
রিটে বলা হয়, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রেগুলোতে অস্বাভাবিক খরচ আর অনিয়মের কারণেই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। অথচ সেই অনিয়মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এসব অনিয়মের কোনো বিচারও চাওয়া যাবে না। এটা জনস্বার্থবিরোধী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আদেশের পর ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের জানান, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০' সাধারণত কুইক রেন্টাল আইন নামে পরিচিত। আইনটির ৬ এর (২) উপধারা ও ৯ নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছি। ৬ এর ধারায় বলা আছে, জ্বালানি মন্ত্রী তার একক বিবেচনায় কোনো একক ব্যক্তি বা কোম্পানির সাথে আলাপ-আলোচনা করে তার সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবেন। এখানে মন্ত্রীর একক বিবেচনায় যাকে ইচ্ছা, যতো টাকায় ইচ্ছা চুক্তি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
আর আইনটির ৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, কাকে চুক্তি দেওয়া হয়েছে, কত টাকার চুক্তি করা হচ্ছে, এসব ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে আদালতে শরণাপন্ন হওয়া যাবে না।
দুটি ধারাই সংবিধানের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে এই আইনজীবী অভিযোগ করেন ধারা দুটির অপব্যবহারের ফলে বিগত সরকারের আমলে কুইক রেন্টালের পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে।