প্রথমবারের মতো শুক্রবারও চলল মেট্রোরেল
চালু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শুক্রবারও চলল মেট্রোরেল। আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় উত্তরা স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যায়। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া স্টেশনও খুলে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (অপারেশন) নাসির উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'বিকাল সাড়ে ৩টায় উত্তরা প্রান্ত থেকে মেট্রোসেবা চালু করেছি।'
এদিকে শুক্রবার মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যাত্রীরাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
রাশিদা আক্তার মুন্নি নামের একজন যাত্রী বলেন, 'আমি একটা নাট্য সংগঠনের সাথে জড়িত। এখানে প্রায় প্রতি শুক্রবার রিহার্সাল বা নাটকের শো থাকে। ফলে আগে আমার বাসা মিরপুর থেকে বাসে বা অন্য যানে যেতে হতো। বেশিরভাগ সময়ই শুক্রবার বিকালে জ্যামে পরতে হত। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় আমাদের খুব সুবিধা হলো।'
চাকরীজীবী সুমন চন্দ্র দাস বলেন, 'আগে অফিসের দিনগুলোতে মেট্রো চলত। আমরা যারা মহাখালী-গুলশানের দিকে জব করি তারা এতে ওঠার সুযোগ পেতাম না। আজ বন্ধের দিন শুক্রবার চালু হয়েছে এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তাই এই প্রথম স্ত্রী ও বাচ্চাকে নিয়ে মেট্রোরেলে ঘুরতে বের হয়েছি।'
এদিকে কাজীপাড়া স্টেশনে দেখা যায়, বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয় টিকিট কাউন্টার। শুরুর দিকে এই স্টেশনে যাত্রীদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। তবে সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যাত্রীর চাপ।
অভি নামের একজন বলেন, 'আমার বাসা কাজীপাড়া। এতদিন এই স্টেশনটা বন্ধ থাকায় অফিস বা অন্য যে কোনো কাজে যেতে হয়েছে বাসে বা অন্য পরিবহনে। আজ এই স্টেশন চালু হওয়াতে খুবই ভাল লাগছে। তাই কোনো কাজ নাই তারপরও আনন্দে এই স্টেশনে চলে এসেছি। শাহবাগের টিকেট নিয়েছি। একটু ঘুরে আসব।'
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রউফ প্রতি শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে মেট্রো চলাচলের কথা জানান। প্রতি ১২ মিনিট পরপর রাত ৯টা ৪০ পর্যন্ত চলবে ট্রেন।
মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, 'কাজীপাড়া স্টেশন চালুর জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিছু যন্ত্রপাতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিছু জিনিস ও যন্ত্রাংশ মিরপুর-১০ স্টেশন, ডিএমটিসিএল ল্যাব, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনী কেন্দ্র থেকে এনে লাগানো হয়েছে। ক্ষতি নির্ধারণের কাজ শেষের পর দরপত্রে গেলে জানা যাবে, কত টাকার ক্ষতি হয়েছে।'